রিভিউ: (গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই কাম্য)
নাম : সেরেনা
লেখক : জাফর ইকবাল স্যার
রেটিং ….. আপনারাই দিন
সায়েন্স ফিকশন
প্রথম ভাগে আপনারা দেখতে পাবেন শামীম নামে এক ভদ্রলোকের গ্রামে ভ্রমণ। তিনি একজন ভবঘুরে প্রকৃতির মানুষ। এই জাতীয় প্রানীরা কারণে অকারণে “চড়িয়া ফিরিয়া ঘুরিয়া বেড়ায়” বলে রাখা ভাল এই ভদ্রলোক কিন্তু এই উপন্যাসের প্রধান ২ টি চরিত্রের একটি।
না পাঠক মহোদয়, মন খারাপ করার দরকার নেই।উনার background কিন্তু খুবই চমত্কার। বিদেশ থেকে P.HD নিয়ে এসেছিলেন। পেশায় একজন ডাক্তার। কিন্তু প্রিয় সন্তান আর স্ত্রীর মৃত্যুতে এই ভবঘুরে জীবনযাপন করার সিদ্ধান্ত।
চলুন, আবার গ্রামে ফিরে আসি। শামিম গ্রামটা দেখেই পছন্দ করে ফেলে। গ্রামে ঢুকার পর কিছু কাহিনী ঘটে। একপর্যায়ে তিনি ডোবায় একটি শিশুকে পান। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বাংলাদেশের চিরচেনা রুগ্ন হাসপাতালের চিন্নহ আর কর্তব্যরত মানুষ গুলোর চিরায়ত বৈশিষ্ট্য লেখক খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
এই অবস্থায় শামীম বাচ্চাটাকে নিজ বাসায় নিয়ে আসেন এবং তাকে সুস্থ করার আপ্রান চেস্টা চালিয়ে যান।হঠাৎ তিনি ভাবতে থাকেন একটি বাচ্চা শিশু কিভাবে এতো ঘন্টা পানিতে বাচতে পারে? আর পরক্ষণেই আবিস্কার করলেন বাচ্চাটির এক অলৌকিক ক্ষমতা। সে শরীরের চামড়া দিয়ে নিঃশাস নিতে পারে!!!
অর্থাৎ ডাংগার চেয়ে জলে বাচ্চাটি দিব্যি সাচ্ছন্দ অনুভব করে।শামীম সিদ্ধান্ত নিল তার ভবঘুরে জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে বাকি জীবন্টা একে নিয়েই কাটিয়ে দিবে। ব্যস! সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাস্তবায়ন।
পরের পর্বে দেখবেন বাচ্চাটি বড় হয়ে গেছে। ১৪ বছরের এক চপলা চঞ্চলা কিশোরী। নাম সেরেনা। বাবা মেয়ের মিস্টি মধুর সম্পর্ক দিয়েই এই পর্ব। এই পর্ব পড়তে গিয়ে আপনার ঠোঁটের কোনে আপনারই অজান্তে মিস্টি হাসি ফুটে উঠবে।
আশা করবেন, এইভাবেই বাবামেয়ের জীবনটা অতিক্রম হোক। কিন্তু নিয়তির কাছে আমরা সবাই অসহায়!
মেয়েটির ঘন্টার পর ঘন্টা পানিতে ডুবে বেড়ানোর ঘটনা ফাস হয়ে যায় YOUTUBE এর মাধ্যমে। আর এটি দেখতে পায় international কুখ্যাত একটি এজেন্ট। এই এজেন্ট খুবই powerful…….Technology, money, power সব দিক দিয়েই তারা সয়ংসম্পূর্ণ। তাই তারা মেয়েটিকে ধরার জন্য ফাদ পাতে। তাদের গ্রামে একটি NGO অফিস খোলে। একপর্যায়ে সেরেনাকে তারা ধরে ফেলে।
কিন্তু হেলিকপ্টার করে নেওয়ার আগেই সেরিনার teacher, classmates পুলিশেরদের সাহায্যে এই যাত্রায় মুক্তি পায়। কিন্তু ততক্ষনে দেরি হয়ে যায়। সেরিনার শরীরে ইনজেকশনের দারা ট্রাকিওশন ঢুকিয়ে দেয়। প্রতি ঘন্টায় এটি signal পাঠাবে আর এর সাহায্যে তারা সেরিনার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে ধরবে। এটি শামীম পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারে।তাই বাবামেয়ে যুক্তি করে সেরিনাকে সমুদ্রে পাঠিয়ে দেয় এক বছরের জন্য। যেহেতু পানির নিচে এই ট্রাকিওশন কাজ করতে পারে না।
কিন্তু প্রশ্ন হল
***এই এক বছর সেরিনা কি পারবে পানির নিচে বেচে থাকতে?
*** বেচে ফিরলে ও তার ফুসফুস কি কাজ করবে আগের মতো?
***প্রিয় বাবাকে কি ঐ কুখ্যাত এজেন্ট ততোদিনে জীবিত রাখবে?
আর পানির নিচে তো তিমির, হাঙ্গর ইত্যাদি ভয়ন্কর প্রানী তো আছেই।।। একদিকে মেয়ে বিপদে অন্যদিকে বাবা!
প্রিয় পাঠক, আগের পর্বে যেমন আপনাদের অজান্তে ঠোটের কোনে হাসি চলে আসছিল এই পর্বে কিন্তু আপনার অজান্তে চোখের কোনে পানি চলে আসবে।পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্কটি আজ চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। আর এই সম্পর্কটির মিলন বা বিচ্ছেদ সম্পর্কে জানতে হলে পড়ুন এই উপন্যাসটি।
Read More: Top 5 Freelancing Skills to Learn for Beginners
For Bengali Book Review Please Visit: Boier Feriwala